পাহাড়ে ফের সক্রিয় সশস্ত্র গ্রুপ
- আপলোড সময় : ৩০-১০-২০২৪ ১১:৫১:১৯ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৪ ১১:৫১:১৯ অপরাহ্ন
* পানছড়িতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে তিন ইউপিডিএফ কর্মী নিহত
* আজ সকাল-সন্ধ্যা খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ
* পানছড়ি থেকে সশস্ত্র গ্রুপ সরিয়ে নিতে ইউপিডিএফের আহ্বান
পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে পাহাড়ে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ ও এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেই চলেছে। পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মাঝে মধ্যেই প্রকাশ্যে গুলি বা ব্রাশফায়ারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। গতকাল বুধবার সকালের দিকে পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জন পাড়ায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের তিন কর্মী নিহত হয়েছেন। ইউপিডিএফের তিন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইউপিডিএফ। এছাড়াও পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক ও মুখপাত্র অংগ্য মারমা অবিলম্বে পানছড়ি থেকে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার জন্য সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালের দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য খাগড়াছড়ি পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জন পাড়ায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের তিন কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, সিজন চাকমা, শাসন ত্রিপুরা ও জয়েন চাকমা। তারা ওই এলাকার সাংগঠনিক কাজ করতেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা। ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা অবরোধ ঘোষণা দিয়ে এ ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ গ্রুপ ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করেন। অন্যদিকে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের পক্ষ থেকে দায় অস্বীকার করে এ হত্যাকাণ্ড তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে জানিয়ে হত্যার রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অংগ্য মারমা বলেন, সন্ত্রাসীরা এর আগেও পানছড়ির পুজগাঙে বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে হত্যা করলেও তাদের বিরুদ্ধে সরকার ও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় হত্যাকাণ্ড করে চলেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিবৃতিতে ইউপিডিএফের এই নেতা অবিলম্বে পানছড়িতে তিন ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সাথে ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে জেলার সকল যানবাহন মালিক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ১৩/১৪ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জন পাড়ায় ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে ইউপিডিএফের তিনজন কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত হন। এই ঘটনার জন্য তিনি নব্য ‘মুখোশ বাহিনী’কে দায়ী করেছেন।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসীম বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আমরা শুনেছি। সেখানে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় এখনো মরদেহ উদ্ধারে যেতে পারেনি পুলিশ।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, গতকাল বুধবার দুপুরে তিন জনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এ বিষয়ে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ মামলার জন্য আসেনি।
অপর একটি সূত্র জানায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় গত বছরের পুরোটা সময় কেটেছে কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) আতঙ্কে। কেএনএফর পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে গত বছর বান্দরবানেই চার সেনা সদস্যসহ ১৮ জন নিহত হয়েছিলেন। রাঙ্গামাটিতে প্রতিনিয়তই সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে পাহাড়ে অবস্থান নেয়া বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ। গত বছর রাঙামাটি জেলায় সহিংসতায় প্রাণ গেছে ৪ জনের। এছাড়া গত বছরের শেষ সময়ে খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠনের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে প্রাণ গেছে ৪ জনের। এছাড়া খাগড়াছড়িতে একসঙ্গে পাহাড়ি সংগঠনের আরও দুই নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ৮ মে কেএনএফের সঙ্গে পাহাড়ের অন্যসশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে সদর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নেমথাং বমসহ ৩ জন নিহত হন। অন্যরা হলেন লাল লিয়ান ও সিম লিয়ান। ৭ এপ্রিল রোয়াংছড়ি ও রুমার সীমান্তবর্তী খামতাং পাড়া এলাকায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত হন। তারা হলেন-ভানদু বম, সাংখুম বম, সানফির থাং বম, বয়ে রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান নাং বম ও লালঠা জার বম। গত ১৩ মার্চ সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীনের হামলায় সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন নিহত হন। রুমায় পাহাড়িদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য যাওয়ার পথে ১৭ জুন মোন্নাফ হোসেন নামে এক সেনা সদস্য নিহত হন। ১৮ মে রুমার জারুলছড়ি পাড়ায় কেএনএফের গুলিতে সেনাবাহিনীর ২৮ বীরের সৈনিক আলতাব আহমেদ এবং মোহাম্মদ তৌহিদ নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন মেজর মনোয়ার ও ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহমেদ। রাঙামাটিতে গত বছরের শুরুতে ২৬ জানুয়ারি রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে দু’সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলিতে সম্রাট চাকমা নামে একজন নিহত হন। কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গংগ্রিছড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সম্রাট জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল দলের সদস্য ছিলেন। পুলিশের তথ্য মতে, জেএসএস এবং মারমা ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। ১৪ মে রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি ইউনিয়নের মানিকছড়ি ছাক্রাছড়ায় পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের গুলিতে রূপান্তর চাকমা ওরফে লেজা নামে এক ইউপিডিএফ সদস্য নিহত হন। ২৫ মে রাতে রাঙামাটি শহরের রাঙাপানি এলাকায় ছুরিকাঘাতে প্রভাত চাকমাকে হত্যা করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর রাজস্থলীর বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের নাক্যছড়া আগাপাড়ায় হামলায় মংশৈ থোয়াই মারমা নিহত হন।
সূত্র আরও জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), শান্তিচুক্তি বিরোধী দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক দল (ইউপিডিএফ), হিল উইমেন ফেডারেশনের বেশ কিছু সন্ত্রাসী ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি এলাকায় আরাকান ন্যাশনাল এলায়েন্স (এআরএন), আরাকান লিবারেশন পার্টি (এলপি) ও আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর প্রায় তিন হাজারেরও বেশি সন্ত্রাসী ও গেরিলা বিভিন্ন গহীন অরন্যে ঘাঁটি করে অপতৎপরতায় জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বান্দরবানের লিরাগাঁও, নাইক্ষ্যংছড়ি, রোয়াংলছড়ির আলেখাং, থানচি, রুমা উপজেলা, কচ্ছপতলী, তারাসামুখ, নাথাকগিরিতে সন্ত্রাসীদের আস্তানা রয়েছে। রাঙ্গামাটির ছোট হরিণা, সাজেক, শুভলং, মাচালং, আমতলী, দেমাগ্রি, আগলিং, আন্ধারমানিক, জুড়াছড়ি, রাজাস্থলি, মুবাছড়িমুখ, হলদ্যাপাড়া, চেগেইছড়ি, নানিয়ারচর, কেঙ্গেছড়ি, বাগাপাড়া, কুতুকছড়ি, কালোপাহাড়, গোলক্যা, বন্দুকছড়ি এলাকায় সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী গ্রুপের আনাগোনা রয়েছে। এসব এলাকায় প্রতিনিয়তই ঘটছে খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি, মুখোমুখি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মতো অপ্রীতিকর ও অবাঞ্চিত ঘটনা। এদের অনেককে বিদেশী শক্তি পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার দুদকছড়ি এলাকায় সক্রিয় রয়েছে সন্ত্রাসীরা। ওই এলাকায় সাবেক শান্তিবাহিনীর ঘাঁটি ছিল। দীঘিনালার সীমান্তবর্তী এলাকা নারাইছড়ি, সাদিংছড়ি, মধ্যধনপাতা, ধনপাতা, হাজাছড়া, ক্যাদারাছড়া, পূঁজগাং, লোগাং, কুকিছড়া, বড়কলক, গিরিফুল, ওয়াচু, মাটিরাঙ্গা উপজেলার বাইল্যাছড়ি, যৌথখামার, মানিকছড়ি উপজেলার কিষ্টছড়া, লক্ষীছড়ি উপজেলার বার্মাছড়ি, বাকছড়ি, কালোপাহাড়, মহলছড়ি এলাকায় জেএসএস ও ইউপিডিএফ সংগঠনের ক্যাডাররা অবস্থান করে। এছাড়া বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও পাহাড়ি ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা, অপহরণ বাণিজ্য এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে জড়িত।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভারত-মিয়ানমার থেকে এসব সন্ত্রাসী গ্রুপ ও উপ-গ্রুপ এদেশের অরক্ষিত পার্বত্য এলাকা দিয়ে ভয়ঙ্কর সব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ আনছে। মিয়ানমার ও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো অস্ত্র চালান বা বিকিকিনির সাথে সরাসরি জড়িত। তারা তাদের ব্যয়ভার ও খরচ সামলাতে অস্ত্র বেচাকেনা করে বলে জানা গেছে। ওই অস্ত্রগুলোই পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে। পাহাড়ী পথে আসা অস্ত্রগুলো বেশির ভাগই অত্যাধুনিক। গত এক দশকে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ফটিকছড়ির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কয়েক কোটি টাকার সমরাস্ত্র, গোলাবারুদ, সামরিক পোশাক উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক ও মুখপাত্র অংগ্য মারমা অবিলম্বে পানছড়ি থেকে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার জন্য সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইউপিডিএফ এর তথ্য ও প্রচার সম্পাদক নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত থেকে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস)’র সশস্ত্র কর্মীরা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে অবস্থান করছে এবং বিভিন্ন জনকে হুমকি দিচ্ছে। এর ফলে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ীদের উপর সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে গড়ে ওঠা চলমান ছাত্র-গণআন্দোলনে স্বাভাবিকভাবে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
জেএসএসের এই আচরণে জনগণ হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটিতে হামলায় প্রাণহানি, বাড়িঘর-দোকানপাটে অগ্নিসংযোগে জনগণ অস্তিত্ব রক্ষার্থে যে মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হবার তাগিদ অনুভব করছেন, তখন জেএসএস-এর সশস্ত্র দলের আক্রমণাত্মক অবস্থান জনগণের সাথে শত্রুতার সামিল।
পানছড়ির জনগণ ও ইউপিডিএফ এই চরম উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সংযম ও ধৈর্য্য প্রদর্শন করে আসছে জানিয়ে অংগ্য মারমা আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেএসএসকে অনুরোধ করেছি তারা যেন তাদের সশস্ত্র গ্রুপকে পানছড়ি থেকে সরিয়ে নেয়। দুঃখজনক হলেও তারা এখনো আমাদের অনুরোধে কর্ণপাত করেনি।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা সকল স্তরের ঐক্য প্রত্যাশী জনগণসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাতবিরোধী এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিশ্বাসী ছাত্র-জনতার সঙ্গে জেএসএস-এর মধ্যকার যে সকল নেতা-কর্মী-সমর্থক একাত্মতা পোষণ করেন, তাদেরকে জাতীয় অধিকার আদায়ের আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে পানছড়ি থেকে সশস্ত্র গ্রুপ প্রত্যাহারের জন্য সন্তু লারমার প্রতি চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন।
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ